মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:বাদীনি মোছাঃ গোলাপী খাতুন এবং মোঃ নুর নবী গত ২০১৩ সালে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং বিবাহিত জীবনে তাদের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সীতাকুন্ড থানাধীন মাধবপুর এলাকায় বসবাস করে আসছেন এবং সেখোনে একটি নতুন বিল্ডিং ক্রয় করেন। গত ১২ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক ০১৩০ ঘটিকায় মোঃ নূর নবী ক্রয়কৃত নতুন বিল্ডিংয়ে কাজের কথা বলে তার ১২ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের আত্ম-চিৎকার শুনে মোছাঃ গোলাপী খাতুন তাদের নতুন বিল্ডিং গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা মোছাঃ গোলাপী খাতুন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় মোঃ নুর নবী’কে একমাত্র আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২৭, তাং-২২ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(৪)(খ) ।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার একমাত্র এজাহারনামীয় পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। নজরদারির একপর্যায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার একমাত্র প্রধান আসামী মোঃ নুর নবী চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন মেরিন গেইট এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক রাত ০১৪০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ নুর নবী (৪২), পিতা- মৃত মোঃ কবির আহমেদ, সাং-মধ্যম মহাদেবপুর, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নিজ নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সূত্রে বর্ণিত মামলায় এজাহারনামীয় একমাত্র প্রধান আসামী মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।